সাঁ সাঁ করে নিঃশ্বাস ফেলা - Wheezing in Bengali

Dr. Nabi Darya Vali (AIIMS)MBBS

May 04, 2019

July 31, 2020

সাঁ সাঁ করে নিঃশ্বাস ফেলা
সাঁ সাঁ করে নিঃশ্বাস ফেলা

সাঁ সাঁ করে নিঃশ্বাস ফেলা?

সাঁ সাঁ করে নিঃশ্বাস ফেলা হল একটি উচ্চ-মাত্রার শিস দেওয়ার শব্দ যা নিঃশ্বাস বের করার সময় ফুসফুস থেকে উৎপন্ন হয়। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ থাকলে বা অন্যান্য অ-সংক্রামক কারণের জন্য এটি একটি সাধারণ সমস্যা। এটি অ্যাজমার একটি লক্ষণ।

এর সাথে যুক্ত প্রধান লক্ষণ এবং উপসর্গগুলি কি কি?

সাঁ সাঁ করে নিঃশ্বাস ফেলাই হল একটি উপসর্গ। এটি নিম্নলিখিত সহচরী ক্লিনিকাল লক্ষণ এবং উপসর্গগুলির সঙ্গে দেখা যেতে পারে:

  • ব্রঙ্কোস্প্যাজম- ফুসফুসের সংকীর্ণ বায়ুপথ।
  • শ্বাসকষ্ট
  • শ্বাস নেওয়ার সময় শিস দেওয়ার শব্দ।
  • বুকে টানলাগা ভাব।
  • রাত্রে কাশি হওয়া
  • দ্রুত হৃদস্পন্দন।
  • দ্রুত শ্বাস - প্রশ্বাস।

এর প্রধান কারণগুলি কি কি?

সাঁ সাঁ করে নিঃশ্বাস ফেলার কারণ হল:

  • ব্রঙ্কিওলাইটিস- ফুসফুসের মধ্যে ছোট বায়ুপথ যা ব্রঙ্কিয়লস নামে পরিচিত তার প্রদাহকে ব্রঙ্কিওলাইটিস বলে।
  • অ-সংক্রামক কারণগুলির মধ্যে রয়েছে কাঠামোগত অথবা কার্যকরী শ্বাসনালীর অস্বাভাবিকতা।
  • ভাইরাসঘটিত বা ব্যাক্টেরিয়াঘটিত শ্বাসনালীর সংক্রমণ
  • অ্যাজমা।
  • অ্যালার্জি
  • গ্যাস্ট্রো-ইসোফেগাল রিফ্লাক্স ডিজিজ (জিইআরডি/GERD)
  • বাইরের কিছুর শ্বাসগ্রহণ।
  • ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি ডিজিজ।
  • টিউমার অথবা মালিগনেন্সিস (ক্যান্সার)।
  • ঋতুর পরিবর্তন।

এটি কিভাবে নির্ণয় এবং চিকিৎসা করা হয়?

সাঁ সাঁ করে নিঃশ্বাস ফেলার আসল কারণ নির্ণয়ের মধ্যে রয়েছে:

  • শারীরিক পরীক্ষা।
  • ব্রঙ্কোস্কপি।
  • বাতাস চলাচল বাধা দেওয়ার পরীক্ষা।
  • পাল্স অক্সিমেট্রি রিডিং।
  • বুকের এক্স-রে।
  • হাই রেসোলিউশন কম্পিউটেড টোমোগ্রাফি (সিটি স্ক্যান)।
  • ম্যাগনেটিক রেসোনেন্স ইমেজিং (এমআরআই)।
  • ঘাম পরীক্ষা।
  • ব্যাকটেরিয়লজিক্যাল স্পুটাম স্টাডিস।
  • ভাইরাল এন্ড মাইকোপ্লাজমা অ্যান্টিবডি লেভেল।
  • ইমিউন ফাংশন টেস্টিং।

অন্তর্নিহিত কারণিক বিষয়গুলির উপর ভিত্তি করে সাঁ সাঁ করে নিঃশ্বাস ফেলার চিকিৎসা নির্ভর করে। এটি প্রাথমিকভাবে অ্যারোসলের আকারে বিটা 2 অ্যাগোনিস্টের পরিচালনার জন্য উপযুক্ত। যেসমস্ত শিশুদের তীব্র ব্রঙ্কিওলাইটিস আছে তাদের শ্বাসযন্ত্রে ব্যথার উপসর্গ থাকে, যার জন্য তাদের সাপোর্টিভ অক্সিজেন থেরাপি আরম্ভ করা হয়। সেডেটিভগুলি শ্বাসযন্ত্রের ব্যথার উপসর্গকে বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং তাই এটা এড়ানো উচিত। এটি যদি একজনের মধ্যে প্রথমবার ঘটে থাকে তবে একটি পুনরাবৃত্তিমূলক সাঁ সাঁ করে নিঃশ্বাস ফেলার সমস্যার চিকিৎসার জন্য থেরাপিউটিক বিকল্প আলাদা হয়। পুনরাবৃত্তিমূলক সাঁ সাঁ করে নিঃশ্বাস ফেলার সমস্যার ক্ষেত্রে প্রথম-সারির ওষুধগুলির মধ্যে রয়েছে পেরেন্টেরাল বা ওরাল কার্টিকস্টেরয়েড। যদি সংক্রমণের কারণে শ্বাসযন্ত্রের সিনসাইশিয়াল ভাইরাসের সন্দেহ করা হয় তবে প্রায়ই অ্যান্টিভাইরাল চিকিৎসা শুরু করা হয়। এটার প্রমাণ আছে যে সাঁ সাঁ করে নিঃশ্বাস ফেলার সমস্যার সাথে ভিটামিন ডির সম্পর্ক রয়েছে। এর অভাবের ফলে সাঁ সাঁ করে নিঃশ্বাস ফেলার তীব্রতা সৃষ্টি হয়, যাতে সম্পূরকগুলি উপকারী হিসাবে প্রমাণ হতে পারে।



তথ্যসূত্র

  1. E. Kathryn Miller et al. Wheezing exacerbations in early childhood: evaluation, treatment, and recent advances relevant to the genesis of asthma . J Allergy Clin Immunol Pract. 2014 Sep-Oct; 2(5): 537–543. PMID: 25213046
  2. Lisa Noble Weiss. The Diagnosis of Wheezing in Children. Am Fam Physician. 2008 Apr 15;77(8):1109-1114. American Academy of Family Physicians.
  3. Yehia M. El-Gamal, Shereen S. El-Sayed. Wheezing in infancy. World Allergy Organization Journal, 2011, 4:21
  4. Kana Ram Jat, Sushil Kumar Kabra. Wheezing in children with viral infection & its long-term effects. Indian J Med Res. 2017 Feb; 145(2): 161–162. PMID: 28639590
  5. Prithi Sureka Mummidi et al. Viral aetiology of wheezing in children under five. Indian J Med Res. 2017 Feb; 145(2): 189–193. PMID: 28639594
  6. Bener A, Ehlayel MS, Bener HZ, Hamid Q. The impact of Vitamin D deficiency on asthma, allergic rhinitis and wheezing in children: An emerging public health problem. J Fam Community Med [serial online] 2014 [cited 2019 Jun 28];21:154-61.

সাঁ সাঁ করে নিঃশ্বাস ফেলা জন্য ঔষধ

Medicines listed below are available for সাঁ সাঁ করে নিঃশ্বাস ফেলা. Please note that you should not take any medicines without doctor consultation. Taking any medicine without doctor's consultation can cause serious problems.