রক্তাল্পতা - Anemia in Bengali

Dr. Nabi Darya Vali (AIIMS)MBBS

February 08, 2019

May 01, 2023

রক্তাল্পতা
রক্তাল্পতা

সারাংশ

মানব দেহে লাল রক্ত ​​কোষ'এর (আর-বি-সি) সংখ্যা বা হিমোগ্লোবিন'এর ঘনত্ব হ্রাস হলে যে অবস্থার সৃষ্টি হয় তাকে অ্যানিমিয়া বলা হয়। অ্যানিমিয়া বিভিন্ন প্রকারের হয়, যেমন, লোহা কম থাকার কারণে অ্যানিমিয়া, মেগালোব্লাস্টিক অ্যানিমিয়া, এপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়া, এবং আরও অনেক। অ্যানিমিয়ার কারণ বিভিন্ন হতে পারে, যেমন, পরজীবী সংক্রমণের কারণে অধিক রক্তক্ষরণ, মাসিক-কালীন ভারী রক্ত প্রবাহ, গর্ভাবস্থা এবং অপুষ্টি। অ্যানিমিয়ার উপসর্গগুলি হল ক্লান্তি, দুর্বলতা, ফ্যাকাসে চামড়া এবং শ্বাসের অসুবিধা। এটা ডায়গনিস্টিক পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যেতে পারে, যেমন কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট সহ হিমোগ্লোবিন এবং লাল রক্ত ​​কোষ'এর সংখ্যা, পরজীবী সংক্রমণ আছে কি না জানার জন্য মল পরীক্ষা, এবং এপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়া হলে হাড়ের মজ্জা পরীক্ষা। অ্যানিমিয়ার চিকিৎসা এর হওয়ার কারণের উপরে নির্ভর করে। অপুষ্টির কারণে অ্যানিমিয়া হলে চিকিৎসার সাথে সাথে সঠিক খাদ্য এবং লৌহ পরিপূরক দিতে হবে। গুরুতর অ্যানিমিয়া হলে সম্পূর্ণ রক্ত পরিসঞ্চালন করতে হবে। এপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়া বা দীর্ঘ স্থায়ী অ্যানিমিয়া থাকলে হাড়ের মজ্জা প্রতিস্থাপনই সর্বশেষ চিকিৎসা। অন্তর্নিহিত কারণের উপরে অ্যানিমিয়ার অবস্থা নির্ভর করে। যে হেতু বেশির ভাগ কারণই চিকিৎসার দ্বারা উপশম করা যায়, তাই ফলাফল ভালই হয়। যদি রোগ নির্ণয় না হয়, তাহলে জটিল অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে যেমন সময়ের পূর্বেই প্রসব, নবজাতক শিশুর অ্যানিমিয়া, জন্মের সময়ে ওজন কম, খিঁচুনি এবং দেহের অঙ্গের ক্ষতি, ইত্যাদি।

রক্তাল্পতা এর উপসর্গ - Symptoms of Anemia in Bengali

আগেই উল্লেখ করা হয়েছে যে অ্যানিমিয়া রোগে রক্তের অক্সিজেন বহন ক্ষমতা কমে যায়। কাজেই, উপসর্গগুলিও এর সাথে সম্প্রীত:

  • দুর্বলতা
    দুর্বল বোধ করা অ্যানিমিয়া রোগের একটি সাধারণ উপসর্গ। কোন উল্লেখযোগ্য ভারী কার্যকলাপ না করেও একজনকে পরিশ্রান্ত মনে হতে পারে।
  • নিঃশ্বাস নিতে অসুবিধা
    অ্যানিমিয়ার সবচেয়ে লক্ষণীয় উপসর্গগুলির মধ্যে একটি হচ্ছে নিঃশ্বাস নিতে অসুবিধা হওয়া বা শ্বাস নিতে পরিশ্রম করা।
  • অস্বস্তিকর অনুভূতি
    কখনও কখনও আপনি সুস্থতার অভাব অনুভব করতে পারেন। কখনও বা এক অজানা অস্বস্তিকর অনুভূতি আসতে পারে যা অ্যানিমিয়ার কারণে হতে পারে।
  • মাথা ঘোরা
    মাথা ঘোরা কখনও উপেক্ষা করা উচিত নয়। এটা জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে যেমন পড়ে গিয়ে আঘাত লাগা। এটি আপনার মস্তিষ্কে কম অক্সিজেন সরবরাহের কারণে হতে পারে।
  • কর্মক্ষমতা হ্রাস
    আপনি ব্যায়াম বা কাজ বা পড়াশোনা করতে সক্ষম নাও হতে পারেন, যা আপনি আগে সহজেই করতে পারতেন।
  • মাথা ব্যথা
    হালকা থেকে মাঝারি ধরণের মাথা ব্যথা অ্যানিমিয়ার একটি বিরল উপসর্গ।
  • পাইকা
    চক, বরফ এবং মাটি প্রভৃতি যা সাধারণত খাদ্য নয় এমন বস্তু খাওয়া বা খাওয়ার ইচ্ছে পোষণ করাকে পাইকা বলা হয়।
Use Sprowt Vitamin B12 Tablets for problems like iron deficiency, anemia, fatigue -
Vitamin B12 Tablets
₹450  ₹499  9% OFF
BUY NOW

রক্তাল্পতা এর চিকিৎসা - Treatment of Anemia in Bengali

অ্যানিমিয়ার চিকিৎসা সাধারণত নির্ভর করে রোগের অন্তর্নিহিত কারণগুলি, অ্যানিমিয়ার ধরণ এবং রোগীর সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উপর।

অ্যানিমিয়ার চিকিৎসার সঙ্গে জড়িত কয়েকটি বিষয়:

  • আপনার ডাক্তারবাবুর নির্দেশ অনুযায়ী লোহা, ভিটামিন বি 12 এবং ফলিক এসিড সম্পূরক খাদ্য গ্রহণ করে সঠিক পুষ্টি বজায় রাখতে হবে।
  • যে ধরণের খাদ্যে লৌহ আছে, সেগুলি খেতে হবে, যেমন সবুজ পাতাযুক্ত সবজি, তাজা ফল, ডিম, মাংস এবং মাছ।
  • ভিটামিন যুক্ত ফল যেমন লেবু, কমলালেবু, আম ইত্যাদি। ভিটামিন-সি সম্পূরক খাবার বাজারে পাওয়া যায়। তবে ডাক্তারবাবুর কাছে জেনে নিন আপনার বয়স এবং দেহের ওজন অনুসারে সঠিক মাত্রা কত হবে।
  • বাচ্চাদের পেটের ক্রিমি বিনাশ করতে ছয় মাস অন্তর একবার আলবেনডাজোল ট্যাবলেট খাওয়াবেন।
  • অ্যানিমিয়া থাকুক বা না থাকুক, কিশোর ছেলে এবং মেয়েদের এবং গর্ভবতী মহিলাদের লৌহ এবং ফলিক অ্যাসিড সম্পূরক খাবার দিতে হবে।

অ্যানিমিয়ার শ্রেণীর উপর নির্ভর করে চিকিৎসা:

  • কম অ্যানিমিয়া থাকলে আপনার ডাক্তারবাবু আপনাকে লৌহ এবং ফলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ করতে পরামর্শ দেবেন।
  • মাঝারি মাত্রার অ্যানিমিয়া থাকলে আপনার ডাক্তারবাবু লৌহ এবং ফলিক অ্যাসিড সম্পূরক খাদ্যের পরামর্শ দেবেন। এটি বিশেষ ভাবে কাজ করে যখন আপনার কোন লক্ষণ দেখা না যায় এবং আপনি মৌখিক লৌহ চিকিৎসা কোন পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া ছাড়াই সহ্য করতে পারেন, যেমন গ্যাস্ট্রিক ইনটলারেনস যা থেকে উদরাময় হতে পারে। যদি লৌহ সমৃদ্ধ খাদ্য খেতে না পারেন, তাহলে ডাক্তারবাবু ইনজেকশান দিয়ে চিকিৎসা শুরু করবেন। এর জন্য কোন হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে না। ইনজেকশান নেওয়ার পরে আপনি বাড়ি চলে যেতে পারেন এবং পরের দিন আবার আসতে পারেন।
  • যদি গুরুতর অ্যানিমিয়া হয়, তাহলে আপনার স্বাস্থ্যের উপর নির্ভর করে ডাক্তারবাবু লৌহের ইনজেকশান দেওয়ার পরামর্শ দিতে পারেন বা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে আপনার পালস, রক্তচাপ এবং শ্বাসপ্রশ্বাসের মতো জরুরী জিনিসগুলি পরীক্ষা করতে বলতে পারেন। আপনাকে বাইরে থেকে অক্সিজেনও দিতে হতে পারে।
  • রক্তদান
    যদি গুরুতর অ্যানিমিয়া হয় এবং সিকেল সেল অ্যানিমিয়া এবং থ্যালাসেমিয়া থাকে, তাহলে বাইরে থেকে রক্ত দিতেই হবে।
  • অস্থি মজ্জা প্রতিস্থাপন
    লম্বা হাড়গুলির ভিতরে থাকা টিস্যুগুলি হচ্ছে মজ্জা। এই মজ্জা থেকেই রক্তের কোষগুলি তৈরি হয়। এপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়া হলে অস্থির ভিতরের মজ্জাগুলি নষ্ট হয়ে যায় অথবা এতে ত্রুটি দেখা দেয়। ফলে রক্তের কোষগুলি তৈরি বন্ধ হয়ে যায়। সুতরাং, একজন সুস্থ দাতা ব্যক্তির অস্থির মজ্জা রোগীর দেহে অস্ত্রোপচার করে প্রতিস্থাপন করতে হয়।
  • এরিথ্রোপয়েটিন
    কিডনির একটি হরমোনের নাম এরিথ্রোপয়েটিন। রক্তের কোষ তৈরিতে এরিথ্রোপয়েটিনের প্রয়োজন হয়। যে সমস্ত রোগীদের কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত থাকায় এরিথ্রোপয়েটিন উৎপাদন করতে সক্ষম হন না, তাদের অ্যানিমিয়ার চিকিৎসার জন্য এরিথ্রোপয়েটিন ব্যবহার করা হয়।
  • স্প্লিনেক্টমি
    পাকস্থলীর নিকটবর্তী একটি ছোট অঙ্গ হচ্ছে স্প্লিন বা প্লীহা। এর কাজ হচ্ছে নতুন লাল রক্ত কোষ তৈরি এবং পুরানো লাল রক্ত কোষগুলি ধ্বংস করা। লাল রক্ত কোষগুলির জীবনকাল হচ্ছে 120 দিন। যাদের অ্যানিমিয়া আছে কখনও কখনও তাদের প্লীহাতে লাল রক্তের কোষের অতিরিক্ত ভাঙ্গন হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। এই ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচার করে প্লীহা বাদ দেওয়াই হল পছন্দসই চিকিৎসা ব্যবস্থা (স্প্লিনেক্টমি)।

গর্ভাবস্থায় অ্যানিমিয়ার চিকিৎসা:

  • কম অ্যানিমিয়াতে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা থাকে 9-11 গ্রাম/ডেসি লিটার। আপনার ডাক্তারবাবু আপনাকে প্রতিদিন লৌহ এবং ফলিক অ্যাসিডের ট্যাবলেট খাওয়ার পরামর্শ দিতে পারেন। এক মাস পর কোন উন্নতি হল কি না তা জানার জন্য আবার পরীক্ষা করার পরামর্শ দিতে পারেন।
  • মাঝারি মাত্রার অ্যানিমিয়া থাকলে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা হবে 7-9 গ্রাম/ডেসি লিটার। এই ক্ষেত্রে আপনার ডাক্তারবাবু প্রথমে অ্যানিমিয়ার কারণ খুঁজে বার করবার চেষ্টা করবেন এবং তারপর লৌহ এবং ফলিক অ্যাসিডের ট্যাবলেট খেতে দিয়ে চিকিৎসা শুরু করবেন। এক মাস পর পরীক্ষা করে দেখবেন সেন হিমোগ্লোবিনের মাত্রা 8-9 গ্রাম/ডেসি লিটার হয়েছে কি না। তিনি লৌহ সম্পূরক ইনজেকশান দিয়ে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা 9 গ্রাম/ডেসি লিটার নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। তারপর আবার সম্পূরকগুলি খেতে বলবেন।
  • অ্যানিমিয়া গুরুতর হলে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা হবে <7 গ্রাম/ডেসি লিটার। এই অবস্থায় আপনার ডাক্তারবাবু এত কম মাত্রার কারণ খুঁজে বার করবার চেষ্টা করবেন এবং অবিলম্বে লৌহ সম্পূরক ইনজেকশান দেবেন। যদি মাত্রা খুবই কম থাকে তাহলে হাসপাতালে ভর্তি করে রক্ত দেওয়ার পরামর্শ দেবেন।

জীবনধারা নিয়ন্ত্রণ

জীবনধারার সামান্য কয়েকটি পরিবর্তন করে অ্যানিমিয়াকে কার্যকর ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এই গুলি হচ্ছে:

  • তামাক পরিহার করুন
    তামাকের ব্যবহার লোহার শোষণ এবং বিপাক প্রক্রিয়ার উপরে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এতে শরীরে লোহার মাত্রা কমে যাবে। সুতরাং, তামাকের ব্যবহার না করলে অ্যানিমিয়াকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে।
  • খাদ্যের সাথে চা পান করবেন না
    চা পান করলে লোহার শোষণ ব্যাহত হয়। কাজেই খাদ্যের সাথে চা না পান করলে লোহার শোষণ ভাল হয়।
  • লৌহ সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ
    শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ লোহা মজুত রাখার জন্য, সবুজ শাক সবজি, তাজা ফল, মটরশুঁটি, ডিম, মাছ এবং মাংস সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ করুন।


তথ্যসূত্র

  1. N. J. Kassebaum, R. Jasrasaria, M. Naghavi et al. A systematic analysis of global anemia burden from 1990 to 2010. Blood.2014; 123 (5): 615–624. PMID: 24297872
  2. World Health Organization [Internet]. Geneva (SUI): World Health Organization; Worldwide prevalence of anaemia 1993–2005.
  3. Powers JM, Buchanan GR. Diagnosis and management of iron deficiency anemia. Hematol Oncol Clin North Am. 2014; 28:729–45. PMID: 25064710
  4. M. Goonewardene, M. Shehata, A. Hamad. Anaemia in pregnancy. Best Pract Res Clin Obstet Gynaecol. 2012 Feb;26(1):3-24. PMID: 22138002
  5. Ware, R. E., de Montalembert, M., Tshilolo, L., & Abboud, M. R. (2017). Sickle cell disease. The Lancet, 390(10091), 311–323. PMID: 28159390
  6. Taher, A. T., Weatherall, D. J., & Cappellini, M. D. (2018). Thalassaemia. The Lancet, 391(10116), 155–167. PMID: 28774421
  7. Sugimori C, Chuhjo T, Feng X, et al. Minor population of CD55-CD59-blood cells predicts response to immunosuppressive therapy and prognosis in patients with aplastic anemia. Blood. 2016; 107(4):1308–1315. PMID: 16179371
  8. Al-Atrakji MY. The effects of ferrous sulfate as an iron supplement on ejection fraction in patients with iron deficiency anemia associated with decompensated heart failure. Mustansiriya Med J 2018; 17:22-8. [Internet]
  9. Gupta, U. C. and Gupta, S. C. (2014). Sources and deficiency diseases of mineral nutrients in human health and nutrition: A review. Pedosphere 24(1):13–38. [Internet]
  10. A.Rammohan, N. Awofeso, and M.-C. Robitaille. “Addressing female iron-deficiency anaemia in India: is vegetarianism the major obstacle?” ISRN Public Health, vol. 2012, 8 pages, 2012. [Internet]
  11. Oh R, Brown DL. Vitamin B12 deficiency. Am Fam Physician. 2003; 67(5): 979–986.
  12. G. S. Toteja, P. Singh, B. S. Dhillon et al. “Prevalence of anemia among pregnant women and adolescent girls in 16 districts of India,” . Food and Nutrition Bulletin, vol. 27, no. 4, pp. 311–315, 2006 [Internet]
  13. Ananth JV, Sudharshan S, Selvakumar A, Devaleenal BJ, Kalaivani K, Biswas J. Idiopathic intracranial hypertension associated with anaemia, secondary to antiretroviral drug in a human immunodeficiency virus positive patient. Indian Journal of Ophthalmology. 2018; 66(1):168-169. doi:10.4103/ijo.IJO_592_17.
  14. Besarab A, Hörl WH, Silverberg D. Iron metabolism, iron deficiency, thrombocytosis, and the cardiorenal anemia syndrome. Oncologist 2009; 14 Suppl 1:22 33. PMID: 19762514
  15. B. Lonnerdal. “Soybean ferritin: implications for iron status of vegetarians,”. The American Journal of Clinical Nutrition, vol. 89, no. 5, pp. 1680S–1685S, 2009.
  16. Rammohan A, Awofeso N, Robitaille M.A. Addressing Female Iron-Deficiency Anaemia in India: Is Vegetarianism the Major Obstacle?. ISRN Public Health. 2012; 1-8.
  17. Kocyigit A, Erel O, Gur S. Effects of tobacco smoking on plasma selenium, zinc, copper and iron concentrations and related antioxidative enzyme activities. Clin Biochem. 2001; 34:629–33. PMID: 11849622
  18. Chen, C., Grewal, J., Betran, A. P., Vogel, J. P., Souza, J. P., & Zhang J. Severe anemia, sickle cell disease, and thalassemia as risk factors for hypertensive disorders in pregnancy in developing countries. Pregnancy Hypertension. 2018; 13:141–147. PMID: 30177043
  19. B. J. Brabin, M. Hakimi, and D. Pelletier. “An analysis of anemia and pregnancy-related maternal mortality,” Journal of Nutrition, vol. 131, no. 2, pp. 604S–614S, 2001.

রক্তাল্পতা ৰ ডক্তৰ

শহরের Hematologist অনুসন্ধান করুন

  1. Hematologist in Surat

রক্তাল্পতা জন্য ঔষধ

Medicines listed below are available for রক্তাল্পতা. Please note that you should not take any medicines without doctor consultation. Taking any medicine without doctor's consultation can cause serious problems.